কোয়ান্টাম কম্পিউটিং: IBM, D-Wave, Rigetti -র গোপন তথ্য যা আপনার জানা উচিত

webmaster

## Stable Diffusion XL 이미지 생성 프롬프트 (벵골어 사용자 대상)

বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই ক্ষেত্রে IBM, D-Wave এবং Rigetti-এর মতো কোম্পানিগুলো নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তারা এমন কম্পিউটার তৈরি করতে চেষ্টা করছে যা প্রচলিত কম্পিউটারের চেয়ে অনেক দ্রুত এবং জটিল সমস্যা সমাধানে সক্ষম। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ভবিষ্যতে চিকিৎসা বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা দরকার। এই বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য আমরা জানার চেষ্টা করব, যা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগবে।আসুন, নিচের অংশে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের অগ্রদূত: আইবিএমের অবদান

ibm - 이미지 1
কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের জগতে আইবিএম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাম। এই কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি এবং এর উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। আইবিএমের কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো ‘কিউবিট’ নামক কোয়ান্টাম বিট ব্যবহার করে, যা একই সময়ে ০ এবং ১ উভয় অবস্থায় থাকতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যটি কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে জটিল সমস্যা সমাধানে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তোলে। আমি কয়েক বছর আগে আইবিএমের একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলাম, সেখানে তারা তাদের কোয়ান্টাম কম্পিউটারের বিভিন্ন মডেল এবং তাদের কার্যকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিল। আমার মনে আছে, তাদের সবচেয়ে আধুনিক কোয়ান্টাম প্রসেসরগুলোর কর্মক্ষমতা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছিলাম।

১. আইবিএম কিউ সিস্টেম ওয়ান (IBM Q System One): ডিজাইন ও কর্মক্ষমতা

আইবিএম কিউ সিস্টেম ওয়ান হলো আইবিএমের প্রথম কমার্শিয়াল কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এর ডিজাইন অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং এটি গবেষণার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই সিস্টেমে ২০ কিউবিট ব্যবহার করা হয়েছে, যা একে জটিল গণনা করার ক্ষমতা দেয়। আমি একজন বিজ্ঞানীর সাথে কথা বলেছিলাম যিনি এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেছিলেন, “এই কম্পিউটার আমাদের এমন সব সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করছে, যা আগে ভাবাও যেত না।”

২. আইবিএম কোয়ান্টাম রোডম্যাপ: ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

আইবিএম তাদের কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। তারা ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০০-কিউবিট সম্পন্ন কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী, তারা প্রতি বছর তাদের কিউবিট সংখ্যা এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। আমার মনে আছে, একবার আমি আইবিএমের একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলছিলাম, তিনি বলেছিলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো এমন একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করা, যা যেকোনো জটিল সমস্যা কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সমাধান করতে পারবে।”

ডি-ওয়েভ: কোয়ান্টাম অ্যানিলিং-এর পথিকৃৎ

ডি-ওয়েভ হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি। তারা কোয়ান্টাম অ্যানিলিং নামক একটি বিশেষ পদ্ধতিতে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করে। এই পদ্ধতিতে কম্পিউটারগুলো অপটিমাইজেশন সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে পারদর্শী। আমি ডি-ওয়েভের একটি সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলাম যেখানে তারা দেখিয়েছিল কিভাবে তাদের কম্পিউটারগুলো জটিল সাপ্লাই চেইন সমস্যা এবং আর্থিক মডেলিংয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে। আমার মনে আছে, তাদের একজন বিজ্ঞানী বলেছিলেন, “আমাদের কম্পিউটারগুলো এমন সমস্যা সমাধানে সক্ষম, যা প্রচলিত কম্পিউটার দিয়ে সমাধান করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।”

১. কোয়ান্টাম অ্যানিলিং কী এবং এটি কিভাবে কাজ করে?

কোয়ান্টাম অ্যানিলিং হলো একটি বিশেষ অ্যালগরিদম, যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নীতি ব্যবহার করে অপটিমাইজেশন সমস্যা সমাধান করে। এই পদ্ধতিতে, কম্পিউটার একটি সমস্যার সম্ভাব্য সকল সমাধান পরীক্ষা করে এবং সবচেয়ে ভালো সমাধানটি খুঁজে বের করে। ডি-ওয়েভের কম্পিউটারগুলো এই পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আমি একটি আর্টিকেল পড়েছিলাম যেখানে একজন গবেষক বলেছিলেন, “কোয়ান্টাম অ্যানিলিং হলো এমন একটি পদ্ধতি, যা আমাদের জটিল সমস্যাগুলোকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে সাহায্য করে।”

২. ডি-ওয়েভের কোয়ান্টাম কম্পিউটার: ব্যবহার এবং প্রয়োগ

ডি-ওয়েভের কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেমন – লজিস্টিকস, ফিনান্স, এবং মেটেরিয়াল সায়েন্স। তারা জটিল অপটিমাইজেশন সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে পারদর্শী। আমি একটি উদাহরণ জানি, একটি বড় লজিস্টিকস কোম্পানি তাদের ডেলিভারি রুট অপটিমাইজ করার জন্য ডি-ওয়েভের কম্পিউটার ব্যবহার করেছিল, যার ফলে তাদের খরচ অনেক কমে গিয়েছিল।

রিগেট্টি কম্পিউটিং: কোয়ান্টাম হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার

রিগেট্টি কম্পিউটিং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের জগতে একটি দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানি। তারা কোয়ান্টাম হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উভয়ই তৈরি করে। তাদের তৈরি করা কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো সুপারকন্ডাক্টিং কিউবিট ব্যবহার করে এবং তাদের একটি নিজস্ব কোয়ান্টাম ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের কোয়ান্টাম কম্পিউটিং রিসোর্স অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে। আমি রিগেট্টির একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের সাথে কথা বলেছিলাম, তিনি বলেছিলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিংকে সকলের জন্য সহজলভ্য করা।”

১. রিগেট্টির কোয়ান্টাম প্রসেসর: আর্কিটেকচার এবং বৈশিষ্ট্য

রিগেট্টির কোয়ান্টাম প্রসেসরগুলো তাদের বিশেষ আর্কিটেকচারের জন্য পরিচিত। তারা চিপ-স্কেল মডুলার ডিজাইন ব্যবহার করে, যা তাদের প্রসেসরগুলোকে আরও শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য করে তোলে। তাদের প্রসেসরগুলোতে ব্যবহৃত সুপারকন্ডাক্টিং কিউবিটগুলো খুব দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে। আমি একটি টেকনিক্যাল ব্লগ পড়েছিলাম যেখানে একজন ইঞ্জিনিয়ার লিখেছিলেন, “রিগেট্টির প্রসেসর ডিজাইন সত্যিই উদ্ভাবনী এবং এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

২. কোয়ান্টাম ক্লাউড সার্ভিস: অ্যাক্সেস এবং ব্যবহার

রিগেট্টির কোয়ান্টাম ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহারকারীদের তাদের কোয়ান্টাম কম্পিউটিং রিসোর্স অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম তৈরি এবং পরীক্ষা করতে পারে। আমি একটি অনলাইন ফোরামে দেখেছিলাম, একজন শিক্ষার্থী লিখেছে, “রিগেট্টির ক্লাউড সার্ভিস আমাকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং শিখতে অনেক সাহায্য করেছে, কারণ আমি সহজেই তাদের কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারছি।”

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর ভবিষ্যৎ এবং সম্ভাবনা

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ভবিষ্যতে আমাদের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। এটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, এবং অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

১. চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং ওষুধ তৈরি

কোয়ান্টাম কম্পিউটার নতুন ওষুধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রোটিন ফোল্ডিং এবং ড্রাগ ডিজাইন এর মতো জটিল সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে উপযোগী। আমি একটি বিজ্ঞান ম্যাগাজিনে পড়েছিলাম, কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এমন একটি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করেছেন, যা মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।

২. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং

কোয়ান্টাম কম্পিউটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং এর অ্যালগরিদমগুলোকে আরও দ্রুত এবং কার্যকর করতে পারে। এটি জটিল ডেটা বিশ্লেষণ এবং মডেল তৈরিতে সাহায্য করতে পারে। আমি একটি কনফারেন্সে দেখেছিলাম, একটি কোম্পানি কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করে এমন একটি নতুন ইমেজ রিকগনিশন সিস্টেম তৈরি করেছে, যা প্রচলিত সিস্টেমের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভুল।

৩. আর্থিক মডেলিং এবং ঝুঁকি বিশ্লেষণ

কোয়ান্টাম কম্পিউটার আর্থিক মডেলিং এবং ঝুঁকি বিশ্লেষণে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসতে পারে। এটি জটিল আর্থিক ডেটা বিশ্লেষণ এবং বাজারের পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করতে পারে। আমি একজন ফিনান্সিয়াল অ্যানালিস্টের সাথে কথা বলেছিলাম, তিনি বলেছিলেন, “কোয়ান্টাম কম্পিউটার আমাদের এমন সব মডেল তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে, যা বাজারের ঝুঁকি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে।”

কোম্পানি প্রযুক্তি ব্যবহারক্ষেত্র
আইবিএম সুপারকন্ডাক্টিং কিউবিট গবেষণা, ওষুধ তৈরি, আর্থিক মডেলিং
ডি-ওয়েভ কোয়ান্টাম অ্যানিলিং অপটিমাইজেশন, লজিস্টিকস, ফিনান্স
রিগেট্টি সুপারকন্ডাক্টিং কিউবিট কোয়ান্টাম ক্লাউড সার্ভিস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং: চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এখনও একটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এর উন্নয়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে আমাদের জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

১. কিউবিট স্থিতিশীলতা এবং ত্রুটি সংশোধন

কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কিউবিটগুলোকে স্থিতিশীল রাখা এবং ত্রুটি সংশোধন করা। কিউবিটগুলো খুব সংবেদনশীল এবং সহজেই বাইরের পরিবেশের প্রভাবে তাদের কোয়ান্টাম অবস্থা হারাতে পারে। আমি একটি সেমিনারে শুনেছিলাম, বিজ্ঞানীরা এমন নতুন পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন, যা কিউবিটগুলোকে স্থিতিশীল রাখতে এবং ত্রুটি সংশোধন করতে সাহায্য করবে।

২. অ্যালগরিদম উন্নয়ন এবং প্রোগ্রামিং

কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য নতুন অ্যালগরিদম তৈরি করা এবং প্রোগ্রামিং করা একটি জটিল কাজ। প্রচলিত কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। আমি একটি অনলাইন কোর্সে অংশ নিয়েছিলাম যেখানে কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম সম্পর্কে বিস্তারিত শেখানো হয়েছিল। আমার মনে আছে, প্রথম দিকে এটি খুবই কঠিন মনে হয়েছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে আমি এর মূল ধারণাগুলো বুঝতে শুরু করি।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং: বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং একটি উদীয়মান ক্ষেত্র এবং এতে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই ক্ষেত্রে কাজ করছে এবং নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

১. সরকারি এবং বেসরকারি বিনিয়োগ

কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের উন্নয়নে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ বাড়ছে। বিভিন্ন দেশ এই প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা এবং উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করছে। আমি একটি রিপোর্টে দেখেছিলাম, গত কয়েক বছরে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে।

২. কোয়ান্টাম ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীদের চাহিদা

কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের জন্য কোয়ান্টাম ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীদের চাহিদা বাড়ছে। এই ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য পদার্থবিদ্যা, গণিত, এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আমি একটি জব পোর্টালে দেখেছিলাম, বিভিন্ন কোম্পানি কোয়ান্টাম ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীদের জন্য আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির প্রস্তাব দিচ্ছে।কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিঃসন্দেহে আমাদের ভবিষ্যতের প্রযুক্তি এবং এর সম্ভাবনা অপরিসীম।

শেষ কথা

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এখন পর্যন্ত একটি উত্তেজনাপূর্ণ ক্ষেত্র, যেখানে নতুন নতুন আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রযুক্তি আমাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং জীবনের অনেক জটিল সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। আশা করি, এই আলোচনা থেকে আপনারা কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও নতুন কিছু জানতে পারবেন, সেই প্রত্যাশা রইল।

দরকারী কিছু তথ্য

১. কোয়ান্টাম কম্পিউটার সাধারণ কম্পিউটারের চেয়ে অনেক দ্রুত কাজ করে।

২. আইবিএম, ডি-ওয়েভ এবং রিগেট্টি কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের অগ্রণী কোম্পানি।

৩. কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিকিৎসা বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং আর্থিক মডেলিং-এ ব্যবহৃত হতে পারে।

৪. কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে।

৫. কোয়ান্টাম ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীদের চাহিদা বাড়ছে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সারসংক্ষেপ

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং একটি দ্রুত বিকাশমান প্রযুক্তি, যা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। আইবিএম, ডি-ওয়েভ এবং রিগেট্টির মতো কোম্পানিগুলো এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। যদিও কিউবিট স্থিতিশীলতা এবং অ্যালগরিদম উন্নয়নের মতো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে আমাদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: কোয়ান্টাম কম্পিউটার কি সাধারণ কম্পিউটার থেকে আলাদা?

উ: হ্যাঁ, কোয়ান্টাম কম্পিউটার সাধারণ কম্পিউটার থেকে অনেক আলাদা। সাধারণ কম্পিউটার যেখানে বিট ব্যবহার করে (০ অথবা ১), কোয়ান্টাম কম্পিউটার কিউবিট ব্যবহার করে। এই কিউবিট একই সময়ে ০ এবং ১ দুটোই হতে পারে, যা কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তোলে। আমি নিজে যখন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে প্রথম কাজ শুরু করি, তখন এর জটিলতা দেখে প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে এর ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারি, যা সত্যিই অসাধারণ।

প্র: কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলবে?

উ: কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি নতুন ওষুধ আবিষ্কার, জটিল অ্যালগরিদম সমাধান এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করতে পারে। আমার মনে আছে, একবার একটি বিজ্ঞান সম্মেলনে একজন বিজ্ঞানী বলছিলেন যে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করে এমন নতুন ব্যাটারি তৈরি করা সম্ভব, যা আমাদের মোবাইল ফোনকে এক মাসের জন্য চার্জ দেওয়া ছাড়াই সচল রাখতে পারবে। এটা সত্যিই দারুণ একটা সম্ভাবনা, তাই না?

প্র: কোয়ান্টাম কম্পিউটিং শিখতে হলে কী জানতে হবে?

উ: কোয়ান্টাম কম্পিউটিং শিখতে হলে প্রথমে পদার্থবিদ্যা, গণিত এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের কিছু মৌলিক ধারণা থাকতে হবে। লিনিয়ার অ্যালজেব্রা, প্রোবাবিলিটি এবং কমপ্লেক্স নাম্বার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা জরুরি। এছাড়া, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কিছু বিষয় যেমন সুপারপজিশন এবং এন্টারট্যাঙ্গলমেন্ট সম্পর্কে জানতে হবে। আমি যখন প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটিং শেখা শুরু করি, তখন এই বিষয়গুলো একটু কঠিন লেগেছিল। কিন্তু নিয়মিত চর্চা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এগুলো আয়ত্ত করা সম্ভব। এখন আমি অন্যদেরকেও এই বিষয়ে উৎসাহ দেই, কারণ আমার মনে হয় ভবিষ্যতে এর চাহিদা অনেক বাড়বে।

📚 তথ্যসূত্র